যশোর প্রতিনিধি: যশোরে এক মাস আগে সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটার এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীর ছিনতাই হওয়া সোনাসহ তিন জনকে আটক করেছে যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি) পুলিশ। আটকৃতদের মধ্যে দুই জন ছিনতাইকারী ও এক জন জুয়েলার্স মালিক। আটক দুই ছিনতাইকারীকে নিয়ে ২৮ জানুয়ারি শনিবার যশোর শহরের স্বর্ণপট্টির দুই জুয়েলার্সে এ অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।
আটককৃত তিন জন হচ্ছেন ছিনতাইয়ের সাথে প্রত্যক্ষ জড়িত সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার। এবং ছিনতাইকারীদের স্বীকারোক্তিতে আটক হলেন শহরের চুড়িপট্টি মোড়ের জিএম গোল্ড নামের একটি জুয়েলার্সের মালিক বাবু দত্ত।
ডিবি পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সাতক্ষীরার পাটকেলঘাটা বাজারের আরাধ্যা জুয়েলার্সের মালিক রণজিত দের ছেলে গোপী দে যশোর শহরের ষষ্ঠীতলার স্বর্ণ ব্যবসায়ী সঞ্জয় ঘোষের কাছ থেকে ৭৪ ভরি সোনা কিনে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলেন। চলতে পথে যশোর -মণিরামপুর সড়কের সতীঘাটা নামক স্থানে পৌঁছালে দুটি প্রাইভেটকারে করে দুর্বৃত্তরা এসে তার গতিরোধ করে এবং মারধর করে ৭৪ ভরি সোনা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রনজিত দে থানায় মামলা করেন।
পুলিশের সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার দুপুরে যশোর শহরের পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে সোনা ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত সাইফুল ইসলাম ও শাহারিয়ার নামে দুই ছিনতাইকারীকে আটক করে ডিবি পুলিশ। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিতে শহরের চুড়িপট্টি মোড়ের জিএম গোল্ড নামে একটি জুয়েলারি দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক বাবু দত্তকে আটক করা হয়। বাবু দত্ত ওই ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে ৫০ ভরি সোনা কিনেছিলেন।
সূত্র জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে বাবু দত্ত ডিবি পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ওই ক্রয়কৃত স্বর্ণ একই এলাকার নিলয় জুয়েলার্সে ৩০ ভরি ও বিশ্বরুপ জুয়েলার্সে ২০ ভরি বিক্রি করেছেন। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে নিলয় জুয়েলার্স ও বিশ্বরূপ জুয়েলার্স থেকে ওই ৫০ ভরি সোনা উদ্ধার করা হয়। সূত্র আরও জানায়, ছিনতাই হওয়া বাকি ২৪ ভরি সোনা অপর এক ছিনতাইকারীর কাছে রয়েছে। তাকে আটক ও সোনা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় এ ঘটনায় প্রশাসনিক তাৎপরতা অব্যাহত রয়েছে
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।